বাংলাদেশ দূরের কথা, দক্ষিণ এশিয়ার কারও ছিল না এই কীর্তি! কীর্তিই তো, ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোনও পর্যায়ের কোচিং স্টাফে জায়গা করে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনোয়ার উদ্দিন সেটাই করে দেখালেন। এক একটি সাফল্যের সিঁড়ি ভেঙে পৌঁছে গেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ছায়াতলে। ইংল্যান্ড ‘সি’ দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলে দরজায় কড়া নাড়ছেন কিংবা ভবিষ্যতে মূল দলে খেলার ধ্বনি শোনা যাচ্ছে যাদের পায়ে, তাদের নিয়েই গড়া হয় ‘সি’ দল। এই দলেরই সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আনোয়ার। প্রথম কোনও দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে এই পদে সুযোগ পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার।
প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলে আসা ওয়েস্ট হাম একাডেমির গ্র্যাজুয়েট আনোয়ারের অবশ্য মূল দলে খেলার সুযোগ হয়নি। পেশাদারি ক্যারিয়ারে খেলেছেন বার্নেটের হয়ে। দলটির অধিনায়ক হিসেবেও মাঠ মাতিয়েছেন। সেসময় কোচ হিসেবে পাওয়া পল ফেয়ারক্লফের সঙ্গেই যোগ দিচ্ছেন নতুন অভিযানে। দীর্ঘদিন ইংল্যান্ড ‘সি’ দলের কোচ হিসেবে কাজ করে যাওয়া ফেয়ারক্লফের সহকারী হিসেবে কাজ করবেন আনোয়ার।
সামনেই ওয়েলস ‘সি’ দলের সঙ্গে খেলা ইংল্যান্ড ‘সি’ দলের। কার্নারফন টাউনের ম্যাচটি সামনে রেখেই থ্রি লায়ানদের নিয়ে প্রস্তুতিতে নামবেন ফেয়ারক্লফ-আনোয়াররা।
প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি হিসেবে ইংল্যান্ডে পেশাদারি ফুটবল খেলেছেন আনোয়ার। এর আগে আড়াই বছর সহকারী কোচের দায়িত্ব সামলেছেন অ্যালডারশট টাউনে। এবার ইংল্যান্ড দলের কোচিং স্টাফে যোগ দিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী এই কোচ।
লন্ডনের স্টেপনিতে জন্ম নেওয়া আনোয়ারের বাবা বাংলাদেশি। মা ব্রিটিশ। ১৯৬০-এর দশকে তার বাবা বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান।